UNIVERSE HAS LOCATED ITSELF IN ME [BISWA AMAKE PEYECHHE] -translation coming
UNIVERSE HAS LOCATED ITSELF IN ME [BISWA AMAKE PEYECHHE] [ POEM NO. 7 OF PATRA-PUT; KARTIK- 1342, SANTINIKETAN-INDIA]
********************************
চোখ ঘুমে ভরে আসে ,
মাঝে মাঝে উঠছি জেগে।
যেমন নববর্ষার প্রথম পসলা বৃষ্টির জল
মাটি চুঁইয়ে পৌঁছয় গাছের শিকড়ে এসে ,
তেমনি তরুণ হেমন্তের আলো ঘুমের ভিতর দিয়ে
লেগেছে আমার অচেতন প্রাণের মূলে।
.............. [ 3 para dropped here] ............
সৃষ্টির ঝর্ণা বেয়ে যে রস নামছে আকাশে আকাশে
তাকে মেনে নিয়েছি আমার দেহে মনে।
সেই রঙ্গীন ধারায় আমার জীবনে রং লেগেছে-
যেমন লেগেছে ধানের ক্ষেতে ,
যেমন লেগেছে বনের পাতায় ,
যেমন লেগেছে শরতে বিবাগী মেঘের উত্তরীয়ে।
এরা সবাই মিলে পূর্ণ করেছে আজকের দিনের বিশ্বছবি ।
আমার মনের মধ্যে চিকিয়ে উঠল আলোর ঝলক ,
হেমন্তের আতপ্ত নিশ্বাস শিহর লাগাল
ঘুম-জাগরণের গঙ্গাযমুনায় -
যায় কি মেলেনি এই নিখিল ছবির পটে।
জল- স্থল -আকাশের রসসত্রে
অশথের চঞ্চল পাতার সঙ্গে
ঝলমল করছে আমার যে অকারণ খুশি
বিশ্বের ইতিবৃত্তের মধ্যে রইলো না তার রেখা ,
তাবু বিশ্বের প্রকাশের মধ্যে রইলো তার শিল্প।
কাল রাত্রি এক কেটেছে এই জানালার ধারে।
বনের ললাটে লগ্ন ছিল শুক্লপঞ্চমীর চাঁদের রেখা।
এও সেই একই জগৎ ,
কিন্তু গুণী তার রাগিনী দিলেন বাদল করে
ঝাপসা আলোর মূর্ছনায়।
রাস্তায় চলা ব্যস্ত যে পৃথিবী
এখন আঙিনায়-আঁচল-মেলা তার স্তব্ধ রূপ।
লক্ষ্য নেই কাছের সংসারে ,
শুনছে তারার আলোয় গুঞ্জরিত পুরাণকথা।
মনে পড়ছে দূর বাষ্পযুগের শৈশবস্মৃতি।
গাছ গুলো স্তম্ভিত ,
রাত্রির নিঃশব্দতা পুঞ্জিত যেন দেহ নিয়ে।
ঘাসের অস্পষ্ট সবুজে সারি সারি পড়েছে ছায়া।
.......................
যেন চলে গেলাম পৃথিবীর কোনো প্রতিবেশী গ্রহে ,
তাকে দেখা যায় দূরবীনে।
যে গভীর অনুভূতিতে নিবিড় হলো চিত্ত
সমস্ত সৃষ্টির অন্তরে তাকে দিয়েছি বিস্তীর্ণ করে।
ওই চাঁদ ওই তারা ওই তমঃপুঞ্জ গাছগুলি
এক হল , বিরাট হল , সম্পূর্ণ হল
আমার চেতনায়।
বিশ্ব আমাকে পেয়েছে ,
আমার মধ্যে পেয়েছে আপনাকে ,
অলস কবির এই সার্থকতা।
*********
********************************
চোখ ঘুমে ভরে আসে ,
মাঝে মাঝে উঠছি জেগে।
যেমন নববর্ষার প্রথম পসলা বৃষ্টির জল
মাটি চুঁইয়ে পৌঁছয় গাছের শিকড়ে এসে ,
তেমনি তরুণ হেমন্তের আলো ঘুমের ভিতর দিয়ে
লেগেছে আমার অচেতন প্রাণের মূলে।
.............. [ 3 para dropped here] ............
সৃষ্টির ঝর্ণা বেয়ে যে রস নামছে আকাশে আকাশে
তাকে মেনে নিয়েছি আমার দেহে মনে।
সেই রঙ্গীন ধারায় আমার জীবনে রং লেগেছে-
যেমন লেগেছে ধানের ক্ষেতে ,
যেমন লেগেছে বনের পাতায় ,
যেমন লেগেছে শরতে বিবাগী মেঘের উত্তরীয়ে।
এরা সবাই মিলে পূর্ণ করেছে আজকের দিনের বিশ্বছবি ।
আমার মনের মধ্যে চিকিয়ে উঠল আলোর ঝলক ,
হেমন্তের আতপ্ত নিশ্বাস শিহর লাগাল
ঘুম-জাগরণের গঙ্গাযমুনায় -
যায় কি মেলেনি এই নিখিল ছবির পটে।
জল- স্থল -আকাশের রসসত্রে
অশথের চঞ্চল পাতার সঙ্গে
ঝলমল করছে আমার যে অকারণ খুশি
বিশ্বের ইতিবৃত্তের মধ্যে রইলো না তার রেখা ,
তাবু বিশ্বের প্রকাশের মধ্যে রইলো তার শিল্প।
কাল রাত্রি এক কেটেছে এই জানালার ধারে।
বনের ললাটে লগ্ন ছিল শুক্লপঞ্চমীর চাঁদের রেখা।
এও সেই একই জগৎ ,
কিন্তু গুণী তার রাগিনী দিলেন বাদল করে
ঝাপসা আলোর মূর্ছনায়।
রাস্তায় চলা ব্যস্ত যে পৃথিবী
এখন আঙিনায়-আঁচল-মেলা তার স্তব্ধ রূপ।
লক্ষ্য নেই কাছের সংসারে ,
শুনছে তারার আলোয় গুঞ্জরিত পুরাণকথা।
মনে পড়ছে দূর বাষ্পযুগের শৈশবস্মৃতি।
গাছ গুলো স্তম্ভিত ,
রাত্রির নিঃশব্দতা পুঞ্জিত যেন দেহ নিয়ে।
ঘাসের অস্পষ্ট সবুজে সারি সারি পড়েছে ছায়া।
.......................
যেন চলে গেলাম পৃথিবীর কোনো প্রতিবেশী গ্রহে ,
তাকে দেখা যায় দূরবীনে।
যে গভীর অনুভূতিতে নিবিড় হলো চিত্ত
সমস্ত সৃষ্টির অন্তরে তাকে দিয়েছি বিস্তীর্ণ করে।
ওই চাঁদ ওই তারা ওই তমঃপুঞ্জ গাছগুলি
এক হল , বিরাট হল , সম্পূর্ণ হল
আমার চেতনায়।
বিশ্ব আমাকে পেয়েছে ,
আমার মধ্যে পেয়েছে আপনাকে ,
অলস কবির এই সার্থকতা।
*********
Comments
Post a Comment